‘তিন বছর ধরে বাইক চালাই, বউ সেজে চালালে দোষ কিসের’ (ভিডিও)
নিজের হলুদের দিন বাইক চালিয়ে অনুষ্ঠানস্থলে প্রবেশ করেছিলেন ফারহানা আফরোজ। সঙ্গে ছিল বন্ধুরাও। বাইক দিয়ে এমন ভিন্ন রকম এন্ট্রির ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।
ফেসবুকে অনেকে বিষয়টি ইতিবাচকভাবে নিয়েছেন। অনেক ব্যবহারকারী ভিডিও দেখে বিরূপ মন্তব্য করেছেন। কেউ কেউ আবার ফারহানাকে নিয়ে নানা কল্প-কাহীনি বানিয়ে ফেসবুকে পোস্ট করেছেন। সেগুলো যাচাই না করেই কপি পেস্ট করে শেয়ার করা হচ্ছে। সব মিলিয়ে চটেছেন এই নারী বাইকার। আরটিভি নিউজের কাছে একটি ভিডিও বার্তা পাঠিয়ে প্রতিবাদ করেছেন লেডি বাইকার হিসেবে পরিচিত পাওয়া ফারহানা।
দেখে নিবো ভিডিওটি...
মন্তব্য করুন
ফেসবুকে হারানো বিজ্ঞপ্তি দিয়ে মাকে খুঁজছে মেয়ে, ফারাজ করিমের পোস্ট
ফেসবুকে হারানো বিজ্ঞপ্তি দিয়ে মাকে খুঁজে পেতে মেয়ের আবেদন সাড়া ফেলেছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। মা মোসা. রোকেয়া খাতুন রুমিকে খুঁজে পেতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করেছিলেন মেয়ে ফাবিহা জাহারা প্রিয়মি। প্রিয়মির করা সেই পোস্টে, এখন তার মাকে খুঁজে পেতে চেষ্টা করে যাচ্ছেন অনেকেই।
এই মানবিক আবেদনটি আলোচিত তরুণ রাজনীতিবিদ ফারাজ করিম চৌধুরীর চোখে পড়লে, তিনিও আলাদাভাবে পোস্ট করেন। যা এরইমধ্যে শেয়ার করা হয়েছে ১৫ হাজারের বেশি।
প্রিয়মি গণমাধ্যমকে জানান, তার মা পঞ্চাশোর্ধ মোসা. রোকেয়া খাতুন (রুমি) ঈদের পরদিন, শুক্রবার (১২ এপ্রিল) এলিফ্যান্ট রোডের বাসা থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হন। এসময় তার পড়নে ছিল কমলা রঙের থ্রিপিস। রোকেয়া খাতুন স্মৃতিশক্তিতে ও শারীরিকভাবে দুর্বল ছিলেন। তাই পরিবারের আশংকা তিনি পথিমধ্যে হারিয়ে গেছেন।
প্রিয়মি আরও বলেন, এ ব্যাপারে নিউমার্কেট থানায় শনিবার (১৩ এপ্রিল) একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে। জিডি নং- ৫৯৩। পরবর্তীতে ফোন ট্র্যাকিং করার চেষ্টা করে পুলিশ। তিনি জানান, তার মার মোবাইল ফোনটি ঈদের আগেই হারিয়ে গেছে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই সুজিত কুমার সরকার। তিনি বলেন, এখনও পুলিশের পক্ষ থেকে তাকে খুঁজে পাওয়ার চেষ্টা চলমান রয়েছে।
প্রিয়মির দাবি, পুলিশ রাজধানীর কিছু পয়েন্টের সিসি ক্যামেরা চেক করলে মাকে খুঁজে পাওয়া সম্ভব। ফারাজ করিমসহ অন্য সবাই শুধুই মানবিক দিক থেকে পোস্টটি শেয়ার করে মাকে খুঁজতে চেষ্টা করছেন।
আমেরিকার পর ইউরোপেও চাপের মুখে টিকটক
মার্কিন কংগ্রেস চীনা মালিকানার অ্যাপ টিকটকের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক পদক্ষেপ প্রস্তুত করছে৷ ইউরোপীয় ইউনিয়নও অ্যাপের লাইট সংস্করণের কারণে কম বয়সীদের ক্ষতির আশঙ্কায় কড়া পদক্ষেপের ইঙ্গিত দিয়েছে৷
এই মুহূর্তে গোটা বিশ্বে, বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মের কাছে অত্যন্ত জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম হিসেবে টিকটকের রমরমা উপেক্ষা করা সম্ভব নয়৷ চীনা মালিকানার এই অ্যাপ অসংখ্য কনটেন্ট ক্রিয়েটরের আয়ের উৎসও বটে৷ কিন্তু ভারতের পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নে সেই অ্যাপ নিষিদ্ধ হওয়ার আশঙ্কা বাড়ছে৷ কয়েক মাসের জটিলতার পর গত শনিবার মার্কিন সংসদের নিম্ন কক্ষ যখন ইউক্রেনের জন্য সামরিক সহায়তার প্রস্তাব অনুমোদন করলো, সেই ঘটনা সংবাদ শিরোনাম দখল করেছিল৷ একই অধিবেশনে মার্কিন সংসদ টিকটকের চীনা মালিক বাইটডান্স কোম্পানিকে সতর্ক করে দিয়েছে৷ এক বছরের মধ্যে সেই কোম্পানি টিকটকের মালিকানা হস্তান্তর না করলে জাতীয় স্তরে সেটি নিষিদ্ধ করার হুমকি দিয়েছে সংসদের নিম্ন কক্ষ৷ উচ্চ কক্ষেও বিলটি অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয়েছে৷
অন্যান্য অনেক ক্ষেত্রে প্রবল প্রতিদ্বন্দ্বিতা সত্ত্বেও টিকটকের প্রশ্নে রিপাবলিকান ও ডেমোক্র্যাট দলের মধ্যে যথেষ্ট ঐকমত্য দেখা যাচ্ছে৷ টিকটকের মাধ্যমে চীনের সরকার আমেরিকায় ২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের উপর অন্যায় প্রভাব খাটাতে পারে বলে মার্কিন রাজনৈতিক নেতারা মনে করছেন৷ ফলে জাতীয় স্বার্থে এই প্রশ্নে কড়া অবস্থান নেওয়ার জন্য চাপ বাড়ছে৷
এবার ইউরোপীয় ইউনিয়নও টিকটকের প্রশ্নে আরো কড়া অবস্থান নিচ্ছে৷ ইউরোপেও চীনের অযাচিত প্রভাব বিস্তারের আশঙ্কা কাজ করছে৷ আপাতত টিকটক লাইট রিওয়ার্ড প্রোগ্রাম বাতিল করার পথে এগোতে পারে এই রাষ্ট্রজোট৷ শিশু-কিশোরদের নেশার আশঙ্কা দূর করতে কোম্পানি যথেষ্ট পদক্ষেপ না নিলে বৃহস্পতিবারই সেই কর্মসূচি বন্ধ করা হতে পারে৷ ডিজিটাল সার্ভিসেস অ্যাক্ট নামের আইনকে হাতিয়ার করে ইইউ ক্ষতিকর ও বেআইনি কনটেন্ট মোকাবিলার চেষ্টা করছে৷
টিকটক অবশ্য ইইউ-র হুমকি সম্পর্কে হতাশা প্রকাশ করে জানিয়েছে, ১৮ বছরের কমবয়সীদের জন্য রিওয়ার্ডস হাবের দ্বার বন্ধ রাখা হয়েছে৷ ফলে দুশ্চিন্তার কোনো কারণ থাকার কথা নয়৷ গত ফেব্রুয়ারি মাসে টিকটকের বিরুদ্ধে অন্য একটি তদন্ত শুরু হয়েছে৷ আমেরিকা ও ইউরোপে টিকটক ব্যবহারকারীদের একটা উল্লেখযোগ্য অংশ মত প্রকাশের অধিকারের দোহাই দিয়ে নিষেধাজ্ঞার বিরোধিতা করছে৷
চীনের কোম্পানি হওয়া সত্ত্বেও টিকটক একই কারণে সংশয় প্রকাশ করছে৷ অ্যাটলান্টিকের দুই প্রান্তের অনেক রাজনৈতিক নেতা ও দল প্রচারের স্বার্থে টিকটক ব্যবহারও করছে৷ এখনই পুরোপুরি নিষেধাজ্ঞার পথে না গেলেও ইইউ টিকটকের উপর চাপ বজায় রাখছে৷ এমন পরিস্থিতিতে টিকটক আমেরিকা ও ইউরোপের বাজার ধরে রাখতে অদূর ভবিষ্যতে সত্যি মালিকানা হস্তান্তর করবে কিনা, সে বিষয়ে সংশয় থেকে যাচ্ছে৷
স্ত্রী-সন্তানের চেয়ে আসিমের কাছে দেশটাই ছিল বড়
মুক্তিযুদ্ধের সময় বীর মুক্তিযোদ্ধারা যেমন দেশের জন্য হাসতে হাসতে মৃত্যুকে আলিঙ্গন করে নিয়েছেন। নিজেদের জীবন উৎসর্গ করে মানুষের মাঝে দেশপ্রেমকে তুমুলভাবে জাগিয়ে তুলেছেন। তাদেরেই একজন চট্টগ্রামে বিধ্বস্ত হওয়া বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমানের পাইলট বিমানবাহিনীর স্কোয়াড্রন লিডার আসিম জাওয়াদ।
নিজেদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে জনমানুষকে বড় ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করেছেন তিনি। তার মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা থেকে শুরু করে দেশের আপামর জনতা। শুক্রবার (১০ মে) শুক্রবার মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ের মধ্যে চতুর্থ ম্যাচ শুরুর আগে জাওয়াদের মৃত্যুতে এক মিনিট নীরবতা পালন করেছেন দুই দলের খেলোয়াড়েরা। তার বীরত্ব দেশের মানুষের মনে নাড়া দিয়েছে। প্রশাংসায় ভাসছেন অমর এই বীর সন্তান। আমৃত্যু রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব পালন করে সবাইকে কাঁদালেন তিনি।
স্কোয়াড্রন লিডার আসিম জাওয়াদকে নিয়ে নেট দুনিয়ায় অনেকে অনেক মন্তব্য করেছেন। তারা বলেছেন, এমন বীরের মৃত্যু নেই। কালে কালে ক্ষণে ক্ষণে আবারও ফিরে আসবেন তারা। নিজের স্ত্রী-সন্তানের চেয়ে দেশকে আর দেশের মানুষকে বড় করে দেখেছেন তিনি। মৃত্যুর মুখোমুখি হয়েও দেশের জানমালের ক্ষয়ক্ষতি কমাতে বিমানকে নিয়ে গেছেন জনশূন্য এলাকায়। অনেকেই তাকে বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমানের সঙ্গে তুলনা করে ফেসবুকে স্ট্যাটাসও দিয়েছেন। দোয়া করেছেন এই বীরের জন্য।
বৃহস্পতিবার (৯ মে) সকালে উড্ডয়নরত অবস্থায় বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর ‘ওয়াইএকে ১৩০’ প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান উড্ডয়নকালে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেয়। এ সময় বিমানটির পেছন দিকে আগুন লেগে যায়। বিমানে থাকা দুজন পাইলট প্যারাসুট দিয়ে নেমে যান। পরে বিমানটি চট্টগ্রাম বোট ক্লাবের অদূরে কর্ণফুলী নদীতে আছড়ে পড়ে। বিমানের পাইলট ও কো-পাইলট প্যারাসুট দিয়ে নেমে এলে তাদের উদ্ধার করে বানৌজা ঈসা খাঁ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আসিম জাওয়াদ নামে একজন পাইলটের মৃত্যু হয়। উইং কমান্ডার সুহান জহুরুল হকের অবস্থা মোটামুটি ভালো। তিনি চিকিৎসাধীন আছেন।
এদিকে সামাজিক মাধ্যমে প্রশিক্ষণ বিমানটিতে আগুন লাগার ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। এতে দেখা গেছে, আকাশে উড্ডয়নরত থাকা অবস্থায় প্রশিক্ষণ বিমানটিতে আগুন লেগে কালো ধোঁয়া বের হচ্ছে। এরপরপরই আগুন লেগে যেতে দেখা যায় বিমানটিতে। তখনই পাইলটরা প্যারাসুটে ঝুলে কর্ণফুলী নদীতে পড়েন।
হাফিজুর রহমান ফেসবুকে লেখেন, আসিম জাওয়াদ অনেকগুলো জীবন বাঁচিয়ে প্রমাণ করেছেন, বীরশ্রেষ্ট মতিউররা এখনও এদেশে জন্মায়।
ফাহিম রহমান নামের একজন ফেসবুক ব্যবহারকারী লিখেছেন, বীরদের কখনও মৃত্যু হয় না। লাখো শহীদের এ মাটিতে বীরেরা বার বার জন্মায়। কখনও ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমান হয়ে আবার কখনও বা স্কোয়াড্রন লিডার আসিম জাওয়াদ হয়ে।
আরেকজন স্ট্যাটাসে বলেন, বাঁচার সুযোগ থাকলেও জীবন উৎসর্গ করেন পাইলট আসিম জাওয়াদ। নিজে মরে গিয়ে বাঁচিয়ে গেলেন অনেককে।
১৯৯২ সালের ২০ মার্চ মুহাম্মদ আসিম জাওয়াদ মানিকগঞ্জ জেলার সাটুরিয়া থানার গোপালপুর গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম ডা. মো. আমান উল্লাহ এবং মাতার নাম নীলুফা আক্তার খানম।
তিনি ২০০৭ সালে সাভার ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল থেকে এসএসসি, ২০০৯ সালে সাভার ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক কলেজ থেকে এইচএসসি এবং ২০১২ সালে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস্ (বিইউপি) থেকে বিএসসি (অ্যারো) পাস করেন।
স্কোয়াড্রন লিডার মুহাম্মদ আসিম জাওয়াদ ২০১০ সালের ১০ জানুয়ারি বাংলাদেশ বিমানবাহিনীতে যোগদান করেন এবং ২০১১ সালের ১ ডিসেম্বর ক্যাডেটদের জন্য সর্বোচ্চ সম্মান সোর্ড অব অনার প্রাপ্তিসহ জিডি (পি) শাখায় কমিশন লাভ করেন। চাকরিকালে তিনি বিমানবাহিনীর বিভিন্ন ঘাঁটি ও ইউনিটে গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়োজিত ছিলেন। তিনি পেশাদারী দক্ষতা ও সাফল্যের স্বীকৃতিস্বরূপ ‘মফিজ ট্রফি’, ‘বিমানবাহিনী প্রধান ট্রফি’ ও বিমানবাহিনী প্রধানের প্রশংসাপত্র লাভ করেন। এ ছাড়াও ভারতীয় বিমানবাহিনী কোর্সে অংশগ্রহণ করে সাফল্যের স্বীকৃতিস্বরূপ 'Chief of Air Staff's Trophy for Best in Flying (Indian Air Force)' অর্জন করেন।
চাকরিকালে তিনি দেশে-বিদেশে পেশাগত বিভিন্ন কোর্সে অংশগ্রহণ করে সফলতার সঙ্গে তা সম্পন্ন করেন। তিনি বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস্ থেকে এভিয়েশন ইন্সট্রাক্টর্স পোস্ট গ্রাজুয়েট ডিপ্লোমা সম্পন্ন করেন। এ ছাড়াও তিনি চীন থেকে ফাইটার পাইলটস ফাউন্ডেশন ট্রেনিং কোর্স, ভারত থেকে অপারেশনাল ট্রেনিং ইন এভিয়েশন মেডিসিন ফর ফাইটার পাইলটস কোর্স, বেসিক এয়ার স্টাফ কোর্স ও কোয়ালিফাইড ফ্লাইং ইন্সট্রাক্টর্স কোর্স সম্পন্ন করেন।
জানা গেছে, সাভার ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের সাবেক শিক্ষক নিলুফা আক্তার খানম ও চিকিৎসক আমানুল্লাহর একমাত্র সন্তান ছিলেন আসিম জাওয়াদ রিফাত। একমাত্র সন্তানকে হারিয়ে কান্না করতে করতে মূর্ছা যাচ্ছেন মা নিলুফা।
নিহত জাওয়াদের বড় মামা সুরুজ খান জানান, অত্যন্ত মেধাবী ছিল জাওয়াদ। স্কুল ও কলেজজীবনে সব সময় প্রথম হয়েছে। ছোটবেলা থেকে জাওয়াদের স্বপ্ন ছিল পাইলট হওয়ার। কিন্তু সে স্বপ্ন পূরণ হয়ে পাইলটও হয়েছিল। কিন্তু সেটি ছিল মাত্র অল্প সময়ের জন্য। পরিবারের মাথায় বাজ নেমে পড়েছে জাওয়াদকে হারিয়ে।’ আগামীকাল শুক্রবার জাওয়াদের মরদেহ মানিকগঞ্জে আনা হবে বলে জানান তিনি।
বাংলাদেশের ফুচকা খেয়ে যা বললেন লু
যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু দুই দিনের সফরে বাংলাদেশে এসেছেন। ঢাকায় এসে ফুচকায় মেতেছেন তিনি।
মঙ্গলবার (১৪ মে) রাতে সেলিব্রিটি শেফ রহিমা সুলতানার ফুচকা ও ঝালমুড়ির স্বাদ নিয়েছেন ডোনাল্ড লু।
এদিন রাতে ঢাকার মার্কিন দূতাবাসের ফেসবুক পেইজে ২২ সেকেন্ডের একটি ভিডিও আপলোড করা হয়। ভিডিওতে দেখা যায়, ডোনাল্ড লু ফুচকা ও ঝালমুড়ির স্বাদ নিচ্ছেন। এ সময় তার পাশে ছিলেন ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস।
ফুচকা ডোনাল্ড লু ও রাষ্ট্রদূত পিটার হাস এক সঙ্গে বলেছেন, ‘বাংলাদেশের ফুচকা ইজ দ্য বেস্ট।’
এর আগে মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে দুই দিনের সফরে ঢাকায় আসেন মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু।
শ্রীলঙ্কা এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে ঢাকায় অবতরণ করেন তিনি। বিমান বন্দরে তাকে স্বাগত জানান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উত্তরে আমেরিকা অনুবিভাগের মহাপরিচালক মাসুদুল আলম এবং বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাস। সফরের প্রথম দিন দেশের সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন তিনি।
সফরের দ্বিতীয় দিন বুধবার লু প্রথমে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরীর সঙ্গে ও পরে পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় আলোচনা করবেন। পরে তিনি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন।
গত ৭ জানুয়ারির নির্বাচনের পর যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা হিসেবে এটি তার প্রথম সফর। এ নিয়ে পঞ্চমবার বাংলাদেশ সফর করেছেন লু।
ইউটিউবে এক চ্যানেল থেকেই জয়কে গ্রেপ্তারের ১০ গুজব
‘গহীনের বার্তা’ নামে একটি ইউটিউবে চ্যানেলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পুত্র ও তার আইসিটি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় যুক্তরাষ্ট্রে গ্রেপ্তার হয়েছেন এমন দাবি করে গত পাঁচ মাসে অন্তত দশবার ভিডিও পোস্ট করা হয়েছে। সম্প্রতি বাংলাদেশের একটি ফ্যাক্টচেক সংস্থা রিউমর স্ক্যানার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
এসব পোস্টের কোনোটিতেই এ দাবির পক্ষে কোনো প্রমাণ উপস্থাপন করা হয়নি। আর ভিডিওর থাম্বনেইলে জয়ের গ্রেপ্তারের সম্পাদিত ছবি ও অপ্রাসঙ্গিক আলোচনার ফুটেজ সংগ্রহ করে এই দাবিটি প্রচার করা হয়েছে।
ইউটিউবে এসব ভিডিও দেখা হয়েছে প্রায় পৌনে সাত লাখ বার। চ্যানেলটি ঘুরে দেখা যায়, দশটি ভিডিওর মধ্যে দুইটি জানুয়ারিতে, চারটি ফেব্রুয়ারিতে, তিনটি মার্চে এবং একটি এ মাসে প্রকাশিত হয়েছে।
ভিডিওগুলোতে দেখা যায়, এসব ভিডিও বিশ্লেষণ করে স্বতন্ত্র কোনো ব্যক্তিকে ভিডিওগুলোতে দেখা যায়নি৷ চ্যানেল কর্তৃপক্ষ এসব ভিডিওতে নিজেদের কোনো মতামতও দেননি। ইউটিউবের বিভিন্ন চ্যানেলের ভিন্ন ভিন্ন বক্তার ভিডিও সংগ্রহ করে এসব ভিডিওতে জুড়ে দেওয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়েছে ইউটিউবের নয়টি চ্যানেলের ১৫ টি ভিডিওকে। এগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ভিডিও নেওয়া হয়েছে নাগরিক টিভি নামের একটি চ্যানেল থেকে।
এছাড়া এই চ্যানেলে জয়ের গ্রেপ্তারের দাবিতে প্রচার হওয়া ভিডিওগুলোর থাম্বনেইলে ‘জয়কে পুলিশ গ্রেফতার করে নিয়ে যাচ্ছে’ এমন দৃশ্যের চারটি ছবি দেখা যায়।
চারটি ছবিই রিভার্স ইমেজ সার্চ করে দেখা গেছে, মূল ছবিগুলোতে জয়ের উপস্থিতি নেই। এগুলো বিভিন্ন দেশের ভিন্ন ভিন্ন ব্যক্তিদের বিভিন্ন সময়ে আটকের ছবি। এসব ছবিতে আটক ব্যক্তির মুখমণ্ডলের স্থলে জয়ের মুখমণ্ডল বসিয়ে সম্পাদনা করা হয়েছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে গুজব ছড়ানো এই প্রথম নয়। সজীব ওয়াজেদ জয়কে নিয়ে এর আগেও এমন গুজব প্রচার করা হয়েছে।
সংগৃহীত ভিডিওগুলো পর্যবেক্ষণ করে রিউমর স্ক্যানার ইনভেস্টিগেশন ইউনিট দেখেছে, এসব ভিডিওর কোনোটিতে সজীব ওয়াজেদ জয়ের বিরুদ্ধে অর্থ পাচারের অভিযোগ এবং এফবিআইয়ের এক কর্মকর্তার এ-সংক্রান্ত কথিত একটি নথি নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে, কোনোটিতে শেখ হাসিনার গত বছরের যুক্তরাষ্ট্র সফর নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
কোনো ভিডিওতে দাবি করা হয়েছে এফবিআই তদন্ত করছে জয়ের বিষয়ে, কোনোটিতে বাংলাদেশের বন্দর ব্যবহারের অনুমতি পাওয়া প্রসঙ্গে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্যসহ অপ্রাসঙ্গিক বিভিন্ন ভিডিওর মাধ্যমে শিরোনাম এবং থান্বনেইলে দাবিটি প্রচার করা হয়েছে।
তবে একটি ভিডিওতে যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী বক্তা জ্যাকব মিল্টনকে বলতে শোনা যায়, যুক্তরাষ্ট্রে জয় ১৪ বার গ্রেপ্তার হয়েছেন।
এই ভিডিওটি সংগ্রহ করা হয়েছে ২০২২ সালের ২৩ নভেম্বর নাগরিক টিভির ইউটিউবে প্রকাশিত একটি ভিডিও থেকে। যদিও এই দাবির পক্ষে প্রায় দেড় বছরের পুরোনো এই অনুষ্ঠানে কোনো তথ্যপ্রমাণ উপস্থাপন করা হয়নি।
আরেকটি ভিডিও যেটিও নাগরিক টিভির গত ৩ মে এর একটি অনুষ্ঠান থেকে নেওয়া হয়েছে, সেখানে উপস্থাপক নাজমুস সাকিবকে দাবি করতে দেখা যায়, যুক্তরাষ্ট্র এবং কাতার এই দুই দেশে জয় আইনি ঝামেলায় পড়েছেন। যুক্তরাষ্ট্র থেকে তাকে প্যারোলে মুক্তি নিয়ে আসতে হয়েছে এমন দাবিও উপস্থাপন করতে দেখা গেলেও জনাব সাকিব এসব বিষয়ে কোনো প্রমাণ দেখাননি তার অনুষ্ঠানে। অর্থাৎ, এ বছরে প্রকাশিত গহীনের বার্তা চ্যানেলটির ভিডিওগুলোতে কোনো তথ্যপ্রমাণই ছাড়াই জয়ের গ্রেপ্তার হওয়ার দাবিটি প্রচার করা হয়েছে।
গহীনের বার্তা নামের চ্যানেলটিতে চলতি বছর যে কয়টি ভিডিওর মাধ্যমে সজীব ওয়াজেদ জয়ের গ্রেপ্তারের দাবি প্রচার করা হয়েছে তার মধ্যে প্রথম প্রকাশিত ভিডিওটি পাওয়া যায় ৫ জানুয়ারি।
রিউমর স্ক্যানার ইনভেস্টিগেশন এসব ভিডিও সম্পর্কে অনুসন্ধান করে জানায়, ‘জেল বন্দি জয় চোরা ওয়াশিংটন ডিসিতে’ শিরোনামে প্রকাশিত এই ভিডিওটি সংগ্রহ করা হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী এম রহমান মাসুমের ইউটিউব চ্যানেল Channel US Bangla থেকে। মাসুমের চ্যানেলে ভিডিওটি এখন আর নেই। তবে তিনি ভিডিওটির লিংক তার ফেসবুক পেজে শেয়ার করেছিলেন যা এখনো সচল রয়েছে।
তার ভিডিওটি ডাউনলোড করে সেদিনই ইউটিউবের আরেকটি চ্যানেলে প্রকাশ করা হয়েছে। মাসুম তার ভিডিওতে দেওয়া বক্তব্যে দাবি করেন, জয়ের বাজেয়াপ্ত হওয়া ৩০০ মিলিয়ন ডলার মামলার নথি প্রকাশ করা হয়েছে সেদিন অর্থাৎ ৫ জানুয়ারি।
তিনি বলেন, এটি প্রকাশ করেছেন New York Voice-নামে একটি ইউটিউব চ্যানেলের মালিক নাজমুল হাসান বাবু নামে এক ব্যক্তি।
একইদিন নিউইয়র্ক ভয়েস চ্যানেলে প্রকাশিত ভিডিওটিতে দেখা যায়, নাজমুল হাসান একটি নথির ছবি দেখান, দাবি করেন শেখ হাসিনা ও জয়ের বাজেয়াপ্ত হওয়া ৩০০ মিলিয়ন ডলারের বিষয়ে ওয়াশিংটনে হওয়া মামলার নথি এটি। অনুসন্ধানে জানা গেছে, একই নথির ছবি অন্তত ৪ জানুয়ারি থেকেই ফেসবুকে পোস্ট হচ্ছিল।
শিরোনামের এই নথিটি ডেবরা লাপ্রেভোট্টে নামে এক নারী প্রস্তুত করেছেন। কেস আইডি উল্লেখ করা হয়েছে, 275-WF-237566। নথিটি পড়ে জানা যাচ্ছে, ২০০৭ সালের ডিসেম্বরে ডেবরা লাপ্রেভোট্টের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগের (ডিওজে) সিনিয়র ট্রায়াল অ্যাটর্নি লিন্ডা স্যামুয়েলস যোগাযোগ করেছিলেন।
লিন্ডা বাংলাদেশ থেকে চুরি হওয়া ফান্ড যুক্তরাষ্ট্রের ব্যাংক অ্যাকাউন্টগুলোতে পাচারের সঙ্গে জড়িত একটি অভিযোগের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (এফবিআই) ওয়াশিংটন ফিল্ড অফিসকে সহায়তার জন্য অনুরোধ করেছিলেন। লিন্ডা জানান, বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ২০০৭ সালের জুলাই মাসে দুর্নীতির দায়ে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল এবং শেখ হাসিনার চুরি করা বা চাঁদাবাজির কিছু অর্থ যুক্তরাষ্ট্রের ব্যাংকে বা তার মাধ্যমে পাচার করা হয়েছিল। এর পাশাপাশি তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়ও যুক্তরাষ্ট্রে অর্থ পাচার করেছেন।
নথিতে উল্লেখ করা হয়, শেখ হাসিনা ৩০০,০০০,০০০ ডলারের বেশি চুরি করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। মার্কিন বিচার বিভাগের পক্ষ থেকে এই বিষয়ে তদন্তের জন্য এফবিআইয়ের ওয়াশিংটন ফিল্ড অফিসকে অনুরোধ করার তথ্য উল্লেখ রয়েছে এই নথিতে।
এর প্রেক্ষিতে ২০০৮ সালের ৪ জানুয়ারি ডেবরা লাপ্রেভোট্টের সঙ্গে ডিওজের একটি মিটিং নির্ধারিত রয়েছে বলেও জানানো হয় নথিতে।
এই নথি থেকে জানা যায়, এটি সাম্প্রতিক সময়ের কোনো নথি নয়। বিশেষ করে, এই নথিতে থাকা অন্তত দুটি তথ্য এই সন্দেহের পক্ষেই যায়। যেমন : নথিতে শেখ হাসিনাকে ‘সাবেক প্রধানমন্ত্রী’ বলে সম্বোধন করা হয়েছে, এও উল্লেখ আছে- ২০০৭ সালের জুলাইয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে ২০০৭ সালের ১৬ জুলাই গ্রেপ্তার হন শেখ হাসিনা। ২০০৮ সালের ১১ জুন তিনি মুক্তি পান। অন্যদিকে, নথিতে ২০০৮ সালের জানুয়ারিতে নির্ধারিত একটি মিটিংয়ের বিষয়েও বলা হয়েছে। এই বিষয়গুলো থেকে প্রতীয়মান হয়েছে, নথিটি ২০০৭ সালের ডিসেম্বরে প্রস্তুত করা হয়েছিল।
নথিতে দুজন ব্যক্তির নাম উল্লেখ আছে, ডেবরা লাপ্রেভোট্টে এবং মার্কিন বিচার বিভাগের (ডিওজে) সিনিয়র ট্রায়াল অ্যাটর্নি লিন্ডা স্যামুয়েলস। জানা গেছে, লিন্ডা স্যামুয়েলস ২০১৩ সালে মারা গেছেন। অন্যদিকে, ডেবরা লাপ্রেভোট্টে ১৯৯৫ সাল থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত এফবিআইয়ের সুপারভাইসরি স্পেশাল এজেন্ট হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
রিউমর স্ক্যানার ইনভেস্টিগেশন ইউনিটের পক্ষ থেকে ডেবরা লাপ্রেভোট্টের কাছে এই নথির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি মার্কিন বিচার বিভাগ (ডিওজে) কর্তৃক ২০০৯ সালের ৯ জানুয়ারি প্রকাশিত একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তি পাঠান। এই বিজ্ঞপ্তিতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকোর কয়েকটি ব্যাংক হিসাবের বিরুদ্ধে সম্পত্তি বাজেয়াপ্তের ব্যবস্থা গ্রহণের কথা জানানো হয়। এই ব্যাংক হিসাবগুলোতে ৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার জমা ছিল। এ বিষয়ে মামলার নম্বর 1:09-cv-00021(JDB)।
ডেবরা রিউমর স্ক্যানার ইনভেস্টিগেশন ইউনিটকে বলেছেন, জয় এবং শেখ হাসিনার নামে থাকা নথিতে যে অভিযোগ উল্লেখ আছে তার বিপরীতে কোনো তথ্যপ্রমাণ তারা সে সময় পাননি। জয় ২০১৬ সালে এক ফেসবুক পোস্টেও একই তথ্য জানান।
অর্থাৎ, সজীব ওয়াজেদ জয় এবং শেখ হাসিনার বিষয়ে প্রচারিত নথিটি কোনো মামলার নথি নয়, এটি শুধু একটি অভিযোগপত্র ছিল।
২০২৩ সালে এমন গুজবের পরিপ্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার প্রশান্ত ভূষণ বড়ুয়া বলেছিলেন, গুজব রটনাকারীরা যেসব দেশে থাকেন, সেসব দেশের আইনেই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া সম্ভব। অপপ্রচারের বিরুদ্ধে মানুষকে সচেতন করতে হবে। রাজনৈতিক ও সামাজিক প্রচারে নামতে হবে আওয়ামী লীগকে। এছাড়া দেশের বাইরে সরকারের যে উইংগুলো অর্থাৎ দূতাবাসগুলো আছে, তাদেরকে এবং ওসব দেশে আমাদের তৃতীয় প্রজন্মের যে ছেলেমেয়েরা আছেন, তাদের সঙ্গে হাইকমিশনের নিবিড় যোগাযোগ প্রতিষ্ঠা করতে হবে।